গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে দেশের কিছু এলাকায় ৪০টি মাজার এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪৪টি স্থাপনা ভাঙচুররের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। পুলিশ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে প্রেস উইং বলছে, এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে, মাজার ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর হামলা, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট, মাজারে অগ্নিসংযোগ। সব ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রেস উইং এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাজারে হামলার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে হয়েছে। ঢাকায় ১৭টি, চট্টগ্রামে ১০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতটি ঘটনা ঘটেছে। শুধু চারটি হামলার ঘটনাই ঘটেছে শেরপুর জেলার একটি মাজারে।
প্রেস উইং জানায়, ৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের অভিযোগ গ্রহণ বা পুলিশ কর্তৃক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন থানায় ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দায়ের করা এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জনকে। এরই মধ্যে নিয়মিত দুটি মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে। সারা দেশে মাজার, দরগাহ, মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এসব ঘটনায় সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের থানায় অভিযোগ দায়েরের অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বৈঠকের ব্যবস্থা করে স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসাধারণ ও ধর্মীয় নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে যেকোনও হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে। মামলাগুলো কঠোরভাবে তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারে পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।