পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী এডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় প্রধান আসামি তিনি। ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পর আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) সকালে তাকে পঞ্চগড় জেলা কারাগার থেকে পঞ্চগড় সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পঞ্চগড় থানার উপ-পরিদর্শক মানিক মিয়া তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক নাহিদা আকতার জুলিয়েট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পরে গত বছরের ২ ডিসেম্বর রিকশাচালক আল আমিনকে হত্যার পর লাশ গুমের মামলায় পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশরাফুজ্জামান তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হয় আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ই নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১শ ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট আদম সুফি বলেন, ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো। বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলাটি রহস্যাবৃত, এখনো ভিকটিমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা। রহস্য উদঘাটনের জন্যই আসামীর রিমান্ড প্রয়োজন ছিলো।