পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আবাও নিয়মিতর অংশ হিসেবে রপ্তানী হল আলু। বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দরটি দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই নামের একটি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান ১৬টি পণ্যবাহী ট্রাকে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানী করেছে বলে জানিয়েছে স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মোমিন।
মোমিন এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা আজকে থিংকস টু সাপ্লাই নামের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠিয়েছি। আলুগুলো রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার নেপালে আলু রপ্তানী করেছি।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে মোট ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। থিংকস টু সাপ্লাই ও লোড বাউন্ড লজিস্টিকস সহ কয়েকটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্রেস আলু রপ্তানি করছে।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। স্থলবন্দরটিতে ৯৫ শতাংশই পাথর নির্ভর হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রপ্তানী হচ্ছে ভারত ও নেপালে।
বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।