উদ্বোধনের আগেই চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ভোগাইল বগাদি বাজার সংলগ্ন গণঅধিকার পরিষদের আঞ্চলিক অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ ফেব্রয়ারি) এই ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির টিপু সুলতানের হুকুমে ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি সুইটের নেতৃত্বে খালেক, মিলন, রাজিবুল ,রাজিব , হাবিবুর, সেলিম, শাহিন, সবুজ, মুকুল, আসাদুল, ঝন্টু, মিরা, হালিম, ফারুখ, জিয়া, হাপিজুল হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করে। এসময় অফিস চালু রাখলে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদেরকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।
গণধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ রয়েল জোয়ার্দারের পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত অফিস উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
গণধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় শনিবার ২২ ফেব্রæয়ারি ২৫ চুয়াডাঙ্গা জেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ভোগাইল বগাদি বাজার সংলগ্ন গণধিকার পরিষদের আঞ্চলিক অফিস উদ্বোধনের আগেই ভাঙ্গবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির টিপু সুলতানের হুকুমে ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি সুইটের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় এবং অফিস ভাংচুর করা হয় এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের অফিস করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় গণধিকার পরিষদের অফিস ভাংচুরের মতো বর্বরোচিত হামলা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। আওয়ামী লীগ যেভাবে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ঠিক সেইভাবেই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। ১৬ বছর আওয়ামী জুলুমের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের দ্বারা এমন জালেমি আচরণ অপ্রত্যাশিত। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের দাবি করেন।