চুয়াডাঙ্গায় টিসিবি ও ভিজিএফ ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তির দায়ের করা মামলায় রোববার পৃথক তিনটি স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (৯ মার্চ) বিকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার হুলিয়ামারী গ্রামের মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে তসলিমুজ্জামান সাগর মেম্বর (৪৩), গিরিসনগর গ্রামের আব্দুল খালেক ত্রিপুরার ছেলে বিল্লাল হোসেন মোল্যা (৫০) ও একই গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে আছের উদ্দিন মান্দার (৪২)।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবি ও ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামের এক বিএনপি নেতা নিহত হন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জানান, এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাহিদা খাতুন মুক্তি বাদী হয়ে দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করে গিরিশনগর গ্রামের ফাঁকা মাঠের মধ্য থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি দেশীয় তৈরি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি ধারালো হাসুয়া এবং ৫টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এর আগে শনিবার টিসিবি ও ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন দুপুর ১১টার দিকে রফিকুল ইসলাম (৪৮) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই সময় রফিকুল ইসলামের বড় ভাই শফিকুল ইসলামসহ আরও ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে রোববার দর্শনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-০৭ তারিখ ০৯/০৩/২০২৫।
নিহত রফিকুল ছিলেন সদর উপজেলার তিতুদহ গ্রামের রহিম বকশের ছেলে এবং স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।