ডপঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের খগের হাট বাজারে নিজ দোকানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন এক পল্লী চিকিৎসক।
শ্যমল চন্দ্র সেন নামের ওই ব্যক্তি পল্লী চিকিৎসক হিসেবে খগেরহাট বাজারে ব্যবসা করতো। তার বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের খগেরহাট সেনপাড়া এলাকায়। সে খগেন্দ্র নাথ সেনের ছেলে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৯ টার সময় শ্যামল চন্দ্র সেনকে তার নিজের বর্না ফার্মেসী নামের দোকানে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় রশি লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাজারের লোকজন।
পরে তাদের চিৎকারে বাজারের ব্যবসায়ীরা শ্যামল চন্দ্রের দোকানে এসে ভীড় জমায়।
শ্যামল চন্দ্রের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। শ্যামল চন্দ্রের ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়।
তার মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সে মানসিক সমস্যার কারনেই আত্মহত্যা করে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মানসিক সমস্যা নিয়ে কিভাবে সে ঔষধের ব্যবসা করতো এবং নিজে মানসিক রোগী হয়ে অন্যের চিকিৎসা কিভাবে করতো।
দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউ পি সদস্য অবিনাশ চন্দ্র রায় জানান, তার পারিবারিক ভাবে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। প্রায় ১৫ বছর থেকেই তার মানসিক সমস্যা ছিল। তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাও করানো হয়। সে কোন সময় ভালো থাকে আবার কোন সময় অসুস্থ থাকে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা পল্লী চিকিৎসক শ্যামল চন্দ্র রায়ের আত্মাহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তার আগ থেকেই মানসিক সমস্যা ছিল। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। লাশের সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।