মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মোটরসাইকেল-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ব্যাংক কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান শোভন (২৯) ও জুবায়ের (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। আক্তারুজ্জামান ঢাকা রুপনগর ব্রাঞ্চের অগ্রাণী ব্যাংক পিএলসি অফিসার ও এনআরবিসি ব্যাংকে অফিসার হিসেবে কর্মরত ও সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের হাসানুজ্জামানের ছেলে এবং শিশু জুবায়ের গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের আল হাসানের ছেলে।
এসময় মোটরসাইকেল আরোহী আল ইমরান (২৮) ও মাইক্রো চালক পলাশ গুরুত্বর আহত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেলে শহরের আহম্মদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে এই ঘটনা ঘটে। আহত আল ইমরান একই উপজেলার বাড়িবাঁকা গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে এবং পলাশ পশুহাট সংলগ্ন বিপি কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী।
আহতদের মধ্যে ইমরান ও জুবায়েরের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পথিমধ্যে পাবনা ইশ^রদী পৌছালে জুবায়ের মৃত্যবরণ করে।
জানা গেছে, পলাশ তার নিজের মাইক্রো নিয়ে মেহেরপুর শহরের দিকে আসছিলেন এবং আক্তারুজ্জামান ও ইমরান মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আহম্মদ আলী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে পৌছালে দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মাইক্রো চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জুবায়ের ও তার মাকে বহন করা একটি পাখিভ্যানে ধাক্কা দিলে তারা সকলেই গুরুত্বর আহত হয়।
পরে পথচারীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আকতারুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত ইমরান ও জুবায়েরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেসবাহ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।