নববর্ষকে স্বাগত ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত ও ফিলিস্তিনি নিপীড়িত জনগনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈশাখী আনন্দ শোভা যাত্রা, চিত্রাঙ্কন, মহিলাদের হাঁড়ি ভাংগা, বালিশ খেলা, ক্রিকেট খেলা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিনব্যাপী জেলা বিএনপির উদ্যোগে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংঙ্গীতাঙ্গনে এই আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম।
সাংবাদিক ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ আজিম, মোঃ আসাদুজ্জামান শাহীন, তানিম শাহেদ রিপন, আরমান উদ্দিন পলাশ, ভিপি তাজুল ইসলাম, মোঃ মাহিন ও ফারজানা দিশা প্রমুখ।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। চিত্র শিল্পীরা তাদের চিত্রকর্মের মাধ্যমে আবহমান বাংলার বিভিন্ন ঐহিত্য তুলে ধরেন। এছাড়া নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অংকন করে।
প্রধান অতিথি মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, সৃজনশীল চর্চা ও কর্মের মাধ্যমে স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে ও মুক্ত গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ সুন্দর সমাজ বিনির্মানে আজকের শিশু আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার স্বপ্ন ছিলো শিশুদের নিয়ে। শিশুেদের মেধা বিকাশে তিনি শিশু একাডেমিসহ বিটিভে নতুন কুড়ি নামে অনুষ্ঠান চালু করে ছিলেন।
শহীদ জিয়া শিশুদের আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে এ ভাবনা হতে তাদের প্রতি যত্নবান ছিলেন।তিনি বলেন ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে আজ মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশে আমরা তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরেছি। স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে।
স্বাধীনতা ধরে রাখতে হবে সৃজনশীল চর্চার মাধ্যমে ও লেখা পড়ায় তাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে কারন, শিশুদের বায়না স্মার্টফোনের দিকে এ থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। পরে তিনি অন্য অতিথিদের নিয়ে বিজয়ীদের মাঝে ক্রেষ্ট তুলে দেন।