আগের বউ ডিভোর্স হওয়ার পর পুনরায় বিয়ে করে আর সেই বউও ৪ মাস ধরে বাবার বাড়িতে। এটা নিয়ে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ করে তারই চাচাতো ভাই মামুন ইসলামকে। ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন ইসলাম (২৮) ও চাচী মাহফুজা বেগম (৪৮) কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে মোস্তাফিজুর রহমান।

হত্যা চেষ্টার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করার ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জের মাটিয়ারপাড়া এলাকায়। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে মাটিয়ারপাড়া এলাকার পাকা রাস্তায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। মোস্তাফিজুর মাটিয়ারপাড়া এলাকার ফেরদৌস সরকারের ছেল।

স্থানীয় লোকজন ও মামুনের স্বজনেরা জানান, মোস্তাফিজুর মাদকাসক্ত হওয়ার কারনে এর আগের বউ ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর পুনরায় মোস্তাফিজুর বিয়ে করেন। সে বউও প্রায় ৪ মাস ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে।এনিয়ে মোস্তাফিজুরের বাড়িতে প্রতিনিয়ত অশান্তি সৃষ্টি হয়। মোস্তাফিজুর এর পুরো দায়ভার দেন মামুনের উপর। মোস্তাফিজুরের ধারনা এর আগেও বউও সে পরামর্শ দিয়ে ডিভোর্স করিয়েছে আর এ বউয়ের পরিবারকেও সে পরামর্শ দিচ্ছে মামলা করার জন্য। এটা নিয়ে মামুনের উপর ক্ষিপ্ত ছিল মোস্তাফিজুর। ঘটনার দিন ১৬ এপ্রিল সকালে মামুনকে রাস্তায় একা পেয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপাতে থাকে। মামুন বাঁচার জন্য দৌড়িয়ে তার বাড়িতে যায়। এরপর মোস্তাফিজুরও দা নিয়ে পিছু পিছু মামুনের বাড়িতে গিয়ে এলোপাথাড়ি কুপাতে থাকে। মামুনের মাথা, চোয়ালে, হাতে ও পেটে আঘাত করে। মামুনকে বাঁচাতে তার মা মাহফুজা বেগম এগিয়ে এসে মামুনকে জড়িয়ে ধরলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে মোস্তাফিজুর রহমান।

তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মোস্তাফিজুরের হাত থেকে তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জ্যাতিময় রায় মন্টি তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে স্থানীয় লোকজন মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে থানায় খবর দিলে দেবীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত প্রবীর চন্দ্র ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানার নিয়ে আসেন।

দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, মোস্তাফিজুর রহমান পরিবারের অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ এনে তার ভাই ও চাচীকে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।