ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে নারকেল গাছের সাথে ৩ঘন্টা বেঁধে রেখে নির্যাতন ও তার ছেলে মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে । এ নিয়ে এলাকা জুড়ে চাঞ্চলকর সৃষ্টি হয়েছে। জন সম্মুখে নারিকেল গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে স্থানীয়রা।
ভিডিওতে দেখা যায়, সৌদি প্রবাসী মোঃ হায়দার আলির স্ত্রী ও তার দুই ছেলে-মেয়ে মারধর করছে তারই আপন দুই ভাই এবং ভাইয়ের বউ ও ভাতিজারা। পরে প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তারকে বাসার উঠানের একটি নারকেল গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ চিৎকার শুনে আমরা বাড়িতে এসে দেখি মন্তাজ মিয়ার ছোট ছেলে প্রবাসী হায়দার আলির স্ত্রী ও তার দুই সন্তানকে মারধর করছে তারই বড় ভাই মঙ্গল মিয়া, জয়নাল আবেদিন ও ভাতিজা জুবায়িদ, আকাশ, সাইফুল ইসলাম এবং ময়না বেগম, মর্জিনা বেগম সহ আরো অনেকেই। এক পর্যায়ে শারমিন আক্তারকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদের উপরও ক্ষিপ্ত হয়।
ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার জানান, আমি আমার স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলছিলাম হঠাৎ তারা আমাকে ঘর থেকে চুলের মুঠি ধরে উঠানে নিয়ে মারধর শুরু করে। এসময় আমার ছেলে ও মেয়ে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে। তিনি আরো জানান, ৩ঘন্টা গাছের সাথে বেঁধে রেখে আমাকে নির্যাতন করার পর স্থানীয় এক মেম্বার এসে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে আমাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পাঠায়।
চিকিৎসা শেষে ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে সোমবার রাতেই একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, ১নং অভিযুক্ত মন্তার মিয়ার ছেলে মঙ্গল মিয়া পূর্ব থেকেই শারমিন আক্তাকে বিভিন্ন ভাবে যৌন আচরন করিয়া আসিতেছে। সময়ে কুপ্রস্তাব দিতো তাকে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাদীকে বসত ঘরে এসে ধর্ষনের জন্য চেষ্টা করে তাকে। ধর্ষন করতে না পেরে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে বাকি অভিযুক্তরাও এসে তাকে মারধর করে পরনের কাপড়চোপড় টেনে ছিড়ে বিবস্র ও শ্লীলতাহানি করা হয়। অভিযোগে আরো বলা হয়, বাদীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন, কানে থাকা আধা ভরি ওজনের কানের দুল ও বসত ঘরে আলমারিতে থাকা স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো সাড়ে ৩লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।