ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতের রায়ের পরও প্রভাবশালীদের হুমকীতে নিজ ভূমিতে যেতে পারছেন না কৃষক। জমি সংক্রান্ত বিরোধে দীর্ঘ সাত বছরের আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায় পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চর নারায়নপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই শাহ আলম। কিন্তু রায়ের পরও এখনো নিজেদের পৈত্রিক জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না তারা।
রফিকুল ইসলাম জানান, প্রভাবশালী ইউসুফ অবাধে তার জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে। এতে বাঁধা দিলে তারা তাকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, তার বাবা আব্দুল আজিজ ১৯৬৪ বিনিময় সূত্রে ৪৩ শতক জমির মালিক হন। পরবর্তীতে সরকারি রাস্তার জন্য ৪ শতক বাদে বর্তমানে তাদের মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ৩৯ শতক। হালনাগাদ রেকর্ড অনুযায়ী এ জমি বর্তমানে এসএ খতিয়ান ও বিএস রেকর্ডে যথাক্রমে ২০নং খতিয়ান ও ৭০৮ দাগভুক্ত।
তার দাবি, তিনি ও তার ভাই শাহ আলম পৈত্রিক সূত্রে এ জমির বৈধ ওয়ারিশ এবং সমস্ত কাগজপত্র হালনাগাদ ও সঠিক রয়েছে। তবে ২০১৭ সালে প্রতিবেশী ইউসুফ মিয়া এ জমির উপর মালিকানা দাবি করে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রফিকুল ও শাহ আলমের পক্ষে ৩৯ শতক জমির মালিকানা নিশ্চিত করে রায় দেন।
পরবর্তীতে ইউসুফ মিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করলে ২০২৩ সালে উচ্চ আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখে। কিন্তু আদালতের রায় সত্ত্বেও এখনও রফিকুল ও শাহ আলম জমিতে প্রবেশ করতে পারছেন না।
রফিকুল অভিযোগ করে বলেন, “ইউসুফ মিয়া আমাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জমিতে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চাইলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয় হয়নি। এ ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।