পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ব্রীজের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের জোড়াপুল এলাকার নুল্লাপাড়া হতে সোনাহার বাজার রাস্তার মাঝে ফাঁকা রাস্তায় এ ব্রীজের নির্মাণ কাজের অনিয়ম আর দূর্নীতির অভিযোগ উঠে।
দেবীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তার কার্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এ ব্রীজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় হয়েছে ৪১ লক্ষ ১৯ হাজার ২২০ টাকা। সুজন সরকার নামে এক ঠিকাদার ব্রীজটি নির্মাণ করার দায়িত্ব পান। ব্রীজটি নির্মাণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখাশুনা করেন দেবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের পদধারী নেতা দোলন নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ব্রীজের ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। ঢালাইয়ের শুরুতে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্য সহকারী আসাদুজ্জামান ও রাকিব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা অফিসের কর্মচারী নূর আলমকে রেখে তারা চলে আসেন অফিসে। তারা চলে আসার পরে সেখানে ঢালাইয়ে অনিয়ম শুরু করা হয়। ১টি সিমেন্ট, ২টি বালু আর ৩টি পাথর দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কাজ শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকেই ২টি বালুর পরিবর্তে ৩/৪ টি বালু আর ৩টি পাথরের পরিবর্তে ৪/৫ টি করে পাথর দিয়ে ব্রীজের ঢালাই দিচ্ছে।
পরে স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন ও জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্রীজের ঢালাইয়ের কাজের অনিয়মের সত্যতা পান। ব্রীজে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিক সংবাদকর্মীদের সামনেই ২টি বালুর পরিবর্তে ৩/৪ টি বালু আর ৩টি পাথরের পরিবর্তে ৪/৫ টি করে পাথর দিয়ে ব্রীজের ঢালাই দিচ্ছে।
এসময় ব্রীজের কাজের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ব্রীজের কাজের দেখাশুনা করা দোলন নামের ওই ব্যক্তির সাথে স্থানীয় লোকজনের বাগবিতন্ডা শুরু হয়। পরে তারা সোনাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমানকে ব্রীজের অনিয়মের কাজের অভিযোগ জানান।
সংবাদকর্মীরা দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের কার্য সহকারী আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ ঠিক ভাবেই কাজ হয়েছে। আমরা চলে আসার সময় সেখানে অফিসের কর্মচারী নূর আলমকে রেখে আসছি কাজ দেখাশুনা করার জন্য।
ব্রীজের কাজ করা ঠিকাদার সুজন সরকারকে ব্রীজের ঢালাইয়ের কাজের অনিয়মের কথা বললে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দেন। পরে একাধিক বার তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সোনাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ব্রীজের কাজের ওখানে চৌকিদার ও অফিসের লোক রয়েছে। অনিয়মের বিষয়টি আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি।
বোদা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান, আমি অফিসের লোকদের সাথে কথা বলছি।