পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ব্রীজের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করায় বজলুর রহমান নামের এক সাংবাদিককে লাঞ্চিত করেছে পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক দলিলুর রহমান দোলন। সাংবাদিক বজলুর রহমান ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের দর্পন ও ওয়ান নিউজ বিডি২৪ পঞ্চগড় প্রতিনিধি এবং পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সদস্য।
গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত অনলাইন পোর্টাল ওয়ান নিউজ বিডি২৪ এ দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের জোড়াপুল এলাকার নুল্লাপাড়া হতে সোনাহার বাজার রাস্তার মাঝে ফাঁকা রাস্তায় এ ব্রীজের নির্মাণ কাজের অনিয়ম আর দূর্নীতির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সুজন সরকার নামে এক ঠিকাদার ব্রীজটি নির্মাণ করার দায়িত্ব পান। সে ব্রীজের ঢালাইসহ যাবতীয় কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব পান তার শ্যালক দেবীগঞ্জ পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক দলিলুর রহমান দোলন।
৫ মে সোমবার সকালে সংবাদকর্মী বজলুর রহমান দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তথ্যের জন্য যান। সেখানে তিনি অবস্থান করা কালীন অভিযুক্ত ওই পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব দোলন সংবাদকর্মী বজলুর রহমানকে দেখে জিজ্ঞেস করেন আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক। আপনি কেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন। চাঁদাবাজি না করে অন্য কিছু করে খান।
তিনি আরও বলেন, কাজটি যদি আমার দুলাভাই না করে যদি আমি করতাম তাহলে আপনাকে দেখে নিতাম। আপনার সাংবাদিকতা ছুটিয়ে দিতাম। লাঞ্চিত করার সময় অফিসে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্টাফ ও অন্যান্য লোকজনও উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ – ২০২৪ অর্থ বছরে এ ব্রীজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় হয়েছে ৪১ লক্ষ ১৯ হাজার ২২০ টাকার কাজে ঢালাইয়ে অনিয়ম করা হয়। ১টি সিমেন্ট, ২টি বালু আর ৩টি পাথর দেয়ার নিয়ম থাকলও ২টি বালুর পরিবর্তে ৩/৪ টি বালু আর ৩টি পাথরের পরিবর্তে ৪/৫ টি করে পাথর দিয়ে ব্রীজের ঢালাই দেয়া হয়। দোলন উপস্থিত থেকে ব্রীজে কাজ করা কয়েকজন শ্রমিককে ২টি বালুর পরিবর্তে ৩/৪ টি বালু আর ৩টি পাথরের পরিবর্তে ৪/৫ টি করে পাথর দেয়ার নির্দেশ দেন।
এবিষয়ে সংবাদকর্মীরা অনিয়মের বিষয়টি সাথে সাথে দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানালে তিনি কার্য সহকারী আসাদুজ্জামানের সাথে কথা বলতে চান। ব্রীজের কাজ করা ঠিকাদার সুজন সরকারকে ব্রীজের ঢালাইয়ের কাজের অনিয়মের কথা বললে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইলের সংযোগও কেটে দেন।