পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু নিয়ে দুই স্ত্রীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। আগের পক্ষের স্ত্রী রহিমা খাতুনের অভিযোগ তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছোট স্ত্রী নাসিমা খাতুন। তার দাবি তিনি ষ্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মৃত্যু বরন করেন। আব্দুর রহমানের বাড়ি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার বাগডোগড়া গ্রামে।
আব্দুর রহমান নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার গমনাতী ইউনিয়নের আমবাড়ির বটতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আব্দুর রহমান মারা যান ৩০ মে। তার বাবার নাম মৃত সেরু মাহমুদ।
আব্দুর রহমান আমবাড়ির বটতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে ২০০২ সালে অবসরে যান। বিয়ে করার পর ১০ বছর থেকে নাসিমা খাতুনকে নিয়ে পাশাপাশি বাড়ি করে আলাদা থাকতেন। আলাদা থাকা অবস্থায় নাসিমা খাতুন তার স্বামীর কাছ থেকে কৌশলে ৫৬ শতক জমি হাতিয়ে নেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের পূর্বের স্ত্রীর ৩ মেয়ে ৪ ছেলে ও পরের স্ত্রীর ১ ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে।
আব্দুর রহমানের বড় ছেলে বেলাল হোসেন জানান, বসত বাড়ির পাশে ৫৬ শতক জমি জোরপূর্বক ভাবে লিখে নেন নাসিমা খাতুন। সে জমি নাসিমা খাতুন রাতারাতি বিক্রি করেন। জমি লিখে নেন ছোট স্ত্রী নাসিমা বেগম। ১৫ দিন লিখে নেন তুমি। সে জমি রাতারাতি বিক্রি করে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। পরে বড় স্ত্রীর ছেলে মেয়েসহ আত্বীয় স্বজন খোজাখুজি করেন। খোঁজাখুঁজি করার পরেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে তার বড় স্ত্রী পরের ঘরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন, তার মেয়ে রওশন আরা ও তার স্বামী আব্দুল মোমিনের বিরুদ্ধে স্বামী উদ্ধারের মামলা করেন। মামলা করার পরে আব্দুর রহমান আদালতে হাজির হন।
মৃত আব্দুর রহমানের মাথার ডান ও বামদিকে জখম, কপালে জখম, বাম হাতে জখমের চিন্হ রয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের উপস্থিতিতে দেবীগঞ্জ থানায় মৃত আব্দুর রহমানের লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা জানান, আব্দুর রহমানের বড় স্ত্রী রহিমা খাতুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর নির্ভর করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।