আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হচ্ছে কোরবানির ঈদ। মুসল্লিদের মাঝে এই ঈদের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। সাম্য, মানবতা ও ত্যাগের তাগিদ নিয়ে আসে এই ঈদ। তাই ঘরে ঘরে আঁচ লেগেছে সেই উৎসবের, পশু কোরবানির মাধ্যমে সব পশুত্বকে আরও একবার বিসর্জনের উপলক্ষ্য এসেছে দেশে।
শনিবার সকাল ৭-৩০ মিনিটে মেহেরপুরে পবিত্র ঈদ-উল- আজহার প্রধান জামাত মেহেরপুর পৌর ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় শহরের পুরাতন ঈদগাহ মাঠে সকাল ৭-৪৫ মিনিটে।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কবরস্থান গুলোতে নিকট আত্মীয়দের মাগফিরাত কামনায় কবর জিয়ারত করেন।
নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় শুরু হয় পছন্দের পশু কোরবানি। বাংলাদেশে সাধারণত গরু বা ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। এ অঞ্চলে শতবছর বা তারও আগে সাধারণত বকরি বা ছাগল কোরবানি দেয়া হতো। এ জন্য এই ঈদের পরিচিতি ছিল বকরি ঈদ’ বা বকরিদ। দেশভাগের পর গরু কোরবানি দেয়া বাড়তে থাকে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের নামাজ শেষ করেই পশু জবাই দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকাবাসী। মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেন এবং বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা পশু জবাইয়ে অংশ নিচ্ছেন। প্রতিবেশীরা একে অপরের গরু জবাই দিতে সহযোগিতা করছেন। বাড়ির সামনের রাস্তায়, গাড়ির গ্যারেজ এবং কেউ কেউ খোলা মাঠে পশু কোরবানি দিচ্ছেন। কোরবানির পশুর মাংস আত্মীয়-স্বজন ও গরিব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। ঈদের পরের দু’দিনও পশু কোরবানি করার সুযোগ আছে। আগামী সোমবার আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব।