মেহেরপুরের পিরোজপুর ও বাগোয়ান গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে জামিরুল ইসলাম (২৬), মৃত মকছেদ মন্ডলের ছেলে বাবুল (৫১), একই গ্রামের আমজাদ সরদারের ছেলে বাবুল(৪০), রুবেলের ছেলে রাব্বি (২০) সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের খোকন পাইকের ছেলে দিপন পাইক ওরফে ধীপন পাইক (৩৫)।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি (অপারেশন) জাহাঙ্গীর সেলিম জানান, গেল ১১ জুন সিঙ্গাপুর হতে পিরোজপুর গ্রামের ইউসুফ আলী ঢাকায় ফেরে। সেখানে থেকে বাসযোগে পৌঁছান শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে। একটি অটোরিক্সা করে বিদেশ থেকে মালামাল নিয়ে নিজ গ্রাম পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন নানা ইজারুল ইসলাম। সদর থানার কোলা-আশরাফপুর কড়ইতলার সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন ডাকাত তাদের গতিরোধ করে। ডাকাতদের হাতে থাকা দা, লাঠি, দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সিঙ্গাপুর ৬৭ ডলার, দুইটি অ্যান্ডয়েড মোবাইল, একটি বাটন মোবাইল ফোন, একটি টর্চ লাইট, একটি চার্জার লাইট, বিদেশী চকলেট, সাবান, শ্যাম্পু, বডি লোশন, বডি স্প্রে, পেইন রিলিফ মলম, টুথপেস্ট, মোবাইল চার্জার এবং সিটি গোল্ডের একটি নেকলেসসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
এই ঘটনা জানর পর পরই মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ মামলা রজুসহ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে। গেল ১২ জুন রাত থেকে অভিযান পরিচালনা করে সদর থানার একটি দল। রাতভর অভিযান শেষে ডাকাতির মালামালসহ ০৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় লুন্ঠিত মালামাল ও ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
ওসি আরো জানান, আসামীদের মধ্যে বাবু ওরফে বাবুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান, নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক, ডাকাতি ও গুরুতর জখমসহ মোট ৯ টি , আসামী দিপন পাইক এর বিরুদ্ধে মাদক, দসুত্যা ও চুরি সংক্রান্ত ৩ টি মামলা, আসামী জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে ২ টি মামলার রয়েছে। দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।