জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা ও জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রাজা, সিভিল সার্জন মো. নোমান মিয়া প্রমুখ।
উক্ত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া।
আলোচনায় বক্তারা প্লাস্টিকের অতিরিক্ত ব্যবহার, তার ভয়াবহ পরিবেশগত প্রভাব, এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মাটি, পানি, জীববৈচিত্র্য এমনকি মানুষের স্বাস্থ্যেও।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, "পরিবেশ রক্ষা কেবল সরকারের একক দায়িত্ব নয়। প্রতিটি নাগরিকের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।"
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম রকীব উর রাজা বলেন, "আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে।"
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বন্ধু ফাউন্ডেশন এর প্রতিনিধি, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স-এর সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব ও করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন। বক্তারা পরিবেশ বান্ধব পণ্য ব্যবহার, পুনঃব্যবহারযোগ্য সামগ্রী ব্যবহারে উৎসাহ, স্কুল পর্যায়ে পরিবেশ শিক্ষা প্রচলন এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা সফলভাবে সম্পাদনে জেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমের পরিকল্পনার কথাও জানানো হয়।