সাত দিনের মধ্যে ইরানে আবারও ধ্বংসাত্মক হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান অনুষদের প্রধান ইব্রাহিম মোত্তাকি।
রোববার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এ যুদ্ধবিরতি বাহ্যিকভাবে শান্তির আভাস দিলেও, বাস্তবে তা হতে পারে পরবর্তী হামলার প্রস্তুতির সময়। এই পরিস্থিতিতে তেহরান থেকে আসা এ সতর্কবার্তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। সোমবার ইরান ইন্টারন্যাশনালের লাইভ প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
মোক্তাকি ইরানের কর্মকর্তাদের এ যুদ্ধবিরতি গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানি কর্মকর্তারা এবার হামলার লক্ষ্যবস্তু হবেন। টানা ১২ দিনের সংঘাত শেষে গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে যেকোনো সময় এই যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যেতে পারে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করতে পারেন বলে মনে করেন ইরানের সামরিক প্রধান আবদুর রহিম মুসাভির এবং সাবেক ন্যাটো কর্মকর্তা ইউসুফ আলাবার্দাও। ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে আগ্রাসন চালাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মাটি ব্যবহারের বিষয়ে ইসরাইলি যে কোনো গতিবিধির ওপর নিবিড় নজর রাখছে তেহরান।
সোমবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেছেন, ব্যতিক্রম ছাড়াই সব প্রতিবেশী দেশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য ইহুদিবাদী সরকারকে তাদের স্থান বা ভূখণ্ডের অপব্যবহার করতে দেবে না। এছাড়া ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য শত্রু রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নতুন আইন পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। সোমবার তেহরানের সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টারলিংকের মতো অননুমোদিত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের অপরাধীকেও শাস্তিযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে দেশটি। এদিকে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রধানদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছে ইরানের শীর্ষ শিয়া ধর্মীয় নেতা আলাতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।