গত বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাবর আজম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই ম্যাচটির পর মোহাম্মদ রিজওয়ানও আর ডাক পাননি। এ বছরের মার্চের পর থেকেই দলের বাইরে শাহিন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানের এই তিন তারকার কেউই নেই আসন্ন বাংলাদেশ সফরে। এমন সময়ে ত্রয়ী তারকার ভবিষৎ নিয়ে জেগেছে শঙ্কা।
পাকিস্তানের কোচ মাইক হেসন সরাসরি বাবর ও রিজওয়ানকে সতর্ক করে দিয়েছেন। দুজনের কাছে কড়া বার্তা গেছে, ‘পারফর্ম করে দারুণ কিছু দেখাতে পারলেই টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে পারবে।’ পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সবার জন্য দলের দরজা খোলা। শুধু প্রয়োজন পারফর্ম করা।
রিজওয়ান ও বাবরের টি-টোয়েন্টি পারফর্ম পড়তির দিকে। কুড়ি কুড়ির ক্রিকেটে তাদের খেলার ধরণ নিয়েই যত কথা। পিসিবি থেকে দুই সিনিয়রকে এ বিষয়ে বলাও হয়েছে। তবে পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সকে চ্যাম্পিয়ন বানানো শাহিনকে নিয়ে জমছে ভিন্ন আলোচনা। পাকিস্তানের তারকা পেসার পিএসএলে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন, তবুও কেন সুযোগ পেলেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির প্রধান নির্বাচক আকিব জাভেদ টেনেছেন নিউজিল্যান্ড সফরে শাহিনের বাজে পারফর্ম।
ক্রিকেট পাকিস্তান তাদের এক রিপোর্টে দাবি করছে, শাহিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছে না প্রধান নির্বাচকের। সোর্স জানিয়েছে, শাহিনকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বাইরে রাখছেন জাভেদ। যদিও এ বিষয়ে সরাসরি কেউ মুখ খোলেননি।
পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্পে অবশ্য ডাক পেয়েছিলেন শাহিন। দেশটির একাধিক মিডিয়া দাবি করছে, ওই সময় হুট করে কাউকে না জানিয়ে ইংল্যান্ড চলে যান শাহিন। যা পছন্দ হয়নি প্রধান নির্বাচকের। যদিও বোর্ডের এক কর্মকর্তা এই বিষয়টি নাকোচ করেছেন, ‘যদি এখানে শৃঙ্খলাজনিত কোনো সমস্যা থাকত তবে তাকে ট্রেনিং ক্যাম্পেই ডাকা হতো না।’
যদিও কোচ মাইক হেসন বার্তা দিয়েছেন শাহিনকে। তার পরিকল্পনায় ভালোভাবেই আছেন এই পেসার। সালমান আলী আগা ও সাদাব খানকেও পছন্দ কোচের। চোটে থাকা সাদাব খান হয়ত বাংলাদেশের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও মিস করতে পারেন। শাহিনের ওই সিরিজে থাকার সম্ভাবনা আছে। তবে বাবর-রিজওয়ান সেই সিরিজেও থাকবেন না বলে জানিয়েছে দেশটির কয়েকটি সূত্র।
ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে বাবর ও রিজওয়ানকে ওয়ানডে সিরিজে রাখতে পারে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে তাদের ফেরার শর্ত একটাই—খেলার ধরণ বদলানো। শাহিনের তরফে পিসিবির বার্তা পারফর্ম করেই ফিরতে হবে। যদিও এই তিন তারকাকে না রাখা নিয়ে অনেক গুঞ্জন চলছে দেশটির ক্রিকেটে। তবে কোচ ও নির্বাচক তাদের সিদ্ধান্তে অনড়।