বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেছেন, আজ অনেকের আচারে, অনেকের আচরণে এমনও মনভঙ্গি আমরা দেখি, যে এক ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে কিন্তু কেউ কেউ হঠাৎ রাজনৈতিক দল গঠন করে তাদের আচার-আচরণ আর কথাবার্তায় যেন তাদের শরীর থেকেও আমরা আস্তে আস্তে ফ্যাসিবাদের গন্ধ পায়। তাদের বলি জনগণের সমর্থন থাকলে নির্বাচনে মাঠে আসুন। যে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত করা হয়েছে যদি সেই ফ্যাসিবাদের মত আচরণ করেন তাহলে আপনাদের পরিণতিও কিন্তু ফ্যাসিবাদের মতই হবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে মুজিবনগর উপজেলার রামনগর ফুটবল মাঠে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মানুষের আকাঙ্খা ছিলো মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে, ভোট দেবে। মানুষের আকাঙ্খা অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশ শাষণ করবে। যদি জনগণের প্রতিনিধিরা ক্ষমতায় না থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে না, উন্নয়ন কর্মকান্ড চালু থাকে না। যারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। আর যদি কেউ ভোট ছাড়ায় ক্ষমতায় আসীন হয় তাহলে তার কোন দায়বদ্ধতা তেমন থাকে না। দেশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে, চক্রান্ত চলছে, মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের যে চেতনা, সেই চেতনাকে যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একজন সনামধন্য ব্যক্তি এবং একজন নোবেল বিজয়ী। সারা পৃথিবীতে তার সুনাম রয়েছে। আমরা চাই না তিনি তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে জনগণের রোষাণলের সম্মুখীন হন। যে কারণে বাংলাদেশের জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেই অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে সম্মানের সাথে বিদায় নিলেই তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহŸায়ক আলহাজ্ব জাভেদ মাসুদ মিল্টন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ ও জেলা বিএনপির সদস্য আলমগীর খান ছাতু, রোমানা আহম্মেদ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আব্দুল আউয়াল, খাইরুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফি, রেজাউল হক, ওমর ফারুক লিটন, মকবুল হোসেন মেঘলাসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন শেষে কোন প্রতিদ্বন্দী না থাকায় আমিরুল ইসলামকে সভাপতি, মশিউর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক, হারুন অর রশিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আংশিক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।
কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে কমিটি নিবার্চন করা হয়।