জুলাই বিপ্লবে রাজপথের অন্যতম সারথি অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। বিজয়ের পর যাকে অন্তর্বর্তী সরকার যুক্ত করেছে চলচ্চিত্র অনুদান কমিটিতেও। অবশ্য অনুদানের প্রথম চালান প্রকাশের পর তুমুল বিতর্কের ভিড়ে হাত তোলেন মম। জানান, তিনি এই অনুদানের দায় নেবেন না। কারণ, স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে পারছিলেন না বলে অনুদান তালিকা চূড়ান্ত করার আগেই অব্যাহতি নিয়েছেন কমিটি থেকে।
সেই মম এই জুলাইয়ের শেষ দিকে এসে আরেকবার হাত তুললেন নির্বিকার জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রকাশ্য ফেসবুকে। তুলে ধরলেন প্রচলিত প্রবাদ, ‘ভূতের মুখে রাম নাম’।
প্রবাদেই থামেননি। তিনি ফারুকীকে জবাব দিতে নজির হিসেবে টেনে আনলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কৌতুক অভিনেতা ভলোদিমির জেলেনস্কিকে। মম-জেলেনস্কির গল্প শোনার আগে জেনে নেওয়া যাক কেন এতটা চটেছেন অথবা প্রতিবাদে ফুঁসেছেন চুপচাপ মম। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন শিল্পীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার। তিনি মনে করছেন অনেক শিল্পী মাইলস্টোন ট্র্যাজিডিতে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছেন! তার ভাষায়, ‘জাতি শিল্পীদের কাছে আরেকটু দায়িত্বশীলতা আশা করে।’
আর এই মন্তব্যের জেরে মম পাল্টা জবাব দিয়েছেন মিস্টার সংস্কৃতি উপদেষ্টাকে। তার ভাষায়, ‘‘ক্ষমতা মানুষকে বানায় দানব। শিল্পী যখন ক্ষমতা পায় তখন কী হয়, তা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে দেখে বুঝতে পারেন। জেলেনস্কি অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে। কিন্তু তার দেশের বর্তমান অবস্থা লেজে-গোবরে। আর আমাদের দেশের অবস্থা মাথা-গোবরে। মগজে ঘুরে ‘ড্রোন’, আকাশে উড়ে টাকা।’’
না না। তখনও থামেননি বিপ্লবী অভিনেত্রী। যেন ক্রোধে ফেটে পড়ছিলেন এই পোস্ট লিখতে লিখতে। শেষ লাইনটাতে যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। মম বলেছেন, ‘জাতির আশার ওপর মূত্র বিসর্জনকারী দায়িত্বহীনতা শেখায় দায়িত্বশীলতা। হাহাহা। সঙ্গে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফারুকীর ফটোকার্ডও যুক্ত করে দেন মম!