ইসরায়েলের পক্ষে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে ইরান এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) দেশটির বিচার বিভাগের সংবাদমাধ্যম মিজান অনলাইনের বরাতে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ব্যক্তির নাম রুজবেহ ভাদি। মিজান জানিয়েছে, ভাদি ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি জুন মাসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত এক পরমাণু বিজ্ঞানীর সম্পর্কে তথ্য ফাঁস করেছিলেন।
মিজানের খবরে বলা হয়েছে, রুজবেহ ভাদি অনলাইনের মাধ্যমে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পাঁচবার মোসাদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাকে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অপরাধে জড়িত’ বলে উল্লেখ করেছে মিজান।
এসব কর্মকাণ্ডে সর্বজনীন শৃঙ্খলায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটেছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এ বছর ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতেই অন্তত আটজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল টানা ১২ দিন ইরানে বিমান হামলা চালায়। এসব হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক জেনারেল ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা লক্ষ্যবস্তু হন। এর জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এরপরই ইরান ঘোষণা দেয়, যারা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে, তাদের দ্রুত বিচার করা হবে।
এদিকে, একই দিনে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএল বা আইএস) গোষ্ঠীর একজন সদস্যকেও মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে ইরান। তার নাম মেহদি আসগারজাদে। মিজান অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আসগারজাদে সিরিয়া ও ইরাকে আইএসের প্রশিক্ষণে অংশ নেয় এবং পরে চার সদস্যের একটি দল নিয়ে অবৈধভাবে ইরানে প্রবেশ করে। এই দলের অপর সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছে এবং পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই উভয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগ বলছে, দেশটির বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে কঠোর নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছে।