প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের সম্পর্ক ছিল প্রায় ‘ব্রোম্যান্স’-এর মতো। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এসে এই সম্পর্ক জটিল ও টানাপোড়েনপূর্ণ হয়েছে। এবার আলাস্কায় শুক্রবারের শীর্ষ বৈঠকে এই দুই নেতা একে অপরকে ছাড়িয়ে যেতে চাইবেন। বৈঠকের মূল স্পটলাইটে রয়েছে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের অবসান। উভয়েই আলোচনার ফলাফল নিজের পক্ষে নিতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প বৈঠকটিকে বর্ণনা করেছেন ‘পরীক্ষামূলক আলোচনা’ হিসেবে। এই বৈঠকে তিনি পুতিনের শান্তিচুক্তির প্রস্তুতি যাচাই করবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমি তাকে বলব যে, তোমাকে এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ট্রাম্প চান সরাসরি চোখে চোখ রেখে পুতিনকে মূল্যায়ন করতে। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে আলাস্কায় আসার জন্য পুতিনের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। ২০১৮ সালের হেলসিঙ্কি বৈঠকের পর এটিই হবে তাদের দ্বিতীয় একান্ত সাক্ষাৎ।
ট্রাম্প দাবি করেন, সবসময়ই পুতিনের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে এ বছর রুশ ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে আঘাত হানার পর তিনি পুতিনকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, পুতিন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন।
অন্যদিকে, পুতিন ট্রাম্পের যুদ্ধ অবসানের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি এতে আন্তরিক। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফেরার পর ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেন। ফেব্রুয়ারিতে দুই নেতা ৯০ মিনিট ফোনে কথা বলেন। কিন্তু ধারাবাহিক রুশ বোমাবর্ষণ ও ব্যর্থ আলোচনার পর ট্রাম্পের হতাশা বাড়ে।
২০১৮ সালের হেলসিঙ্কি বৈঠক এখনও দুই নেতার সম্পর্কের বড় মাইলফলক। ওই সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে পুতিনের দাবিকে গুরুত্ব দেন যে, রাশিয়া ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সর্বসম্মতভাবে ভুল বলে প্রমাণ করেছিল।
এই ইতিহাসের কারণে ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহিন সতর্ক করে বলেছেন, আমি খুবই উদ্বিগ্ন যে শান্তির পথে হাঁটার পরিবর্তে পুতিন এই বৈঠককে পুরস্কার হিসেবে দেখবেন এবং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করবেন।