পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ২৩ জন বাংলাদেশিকে জোর করে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে পুশইন করলও বিজিবি টের পায়রি। পরে ভোর বেলা ৮ কিলোমিটার দুরের এক বাজারের নৈশ্য প্রহরীর হাতে আটক হন তারা।
হাড়িভাসা সীমান্ত দিয়ে এবারও নারী-পুরুষ-শিশুসহ ২৩ বাংলাদেশি পুশইন করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত তিন মাসে ভারতের বিএসএফ ১১ দফায় ১৬৬ জন বাংলাদেশীকে জোর করে ফেরত পাঠালো।
বুধবার গভীর রাতে মেইন পিলার ৭৫৭-এর ২ নম্বর সাব-পিলার এলাকা দিয়ে তাদেরকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফের ৯৩ ব্যাটালিয়নের টিয়াপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
পুশইন হওয়া ২৩ জনের মধ্যে ১৩ জন নারী, ৯ জন পুরুষ ও ১ শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং যশোর, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে বাসায় বাড়িতে শ্রমিকের কাজ করছিলেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরের দিকে হাড়িভাষা বাজারে ১৮ জন অপরিচিত মানুষ ঘোরাঘুরি করছিলেন। বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। এছাড়া ইউনিয়নের জোত বাহাদিপাড়া এলাকা থেকে আরও ৫ জনকে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে আটক করা হয়।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম বলেন, ভোরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল কয়েকজন। বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী ও গ্রাম পুলিশ তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেই।
খবর পেয়ে বিজিবি এসে তাদের স্থানীয় ঘাগড়া সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর জিডিমূলে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, আটক ২৩ জনের পরিচয় যাচাই চলছে। বাংলাদেশি পরিচয় নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এবারও পুশইন হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে আটক করেছে স্থানীয় নিরাপত্তা প্রহরী ও গ্রাম পুলিশ বিজিবি কেবল পরে এসে তাদের জিম্মায় নেয়। এর আগে গত তিন মাসে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৬৬ জনকে ১১ দফায় পুশইন করেছে বিএসএফ।