গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন হাদিসে একটি কথা আছে বিপদ কেটে গেলে মানুষ অহংকারী হয়, উৎফুল্ল হয় । ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে , অনেকখানি বিপদ কেটে গেছে। আজকে আমাদের অনেকের মধ্যেই ফ্যসিবাদী আচরনের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাচ্ছি ।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর মুক্ত মঞ্চ এ জেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত ১৮ এর কোটা সংস্কার থেকে ২৪ এর গণঅভ্যূত্থানের স্মৃতিচারণ এবং জুলাই গণঅভ্যূত্থানের আকাঙ্খা ও রাষ্ট্র সংস্কার শীর্ষক গণ সমাবেশে প্রথান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় তিনি আরো বলেন, সেই অওয়ামীলীগ ,যুবলীগ ,ছাত্রলীগের তান্ডব, চাঁদাবাজী, দখলবাজীর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছিলাম । আজকে গণ অভ্যুত্থানের ১ বছরে আজকে আমাদের অনেকের মধ্যেই সেই চাঁদাবাজী দখলবাজীর পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে লড়াই করে নতুন বাংলাদেশ জাতীকে উপহার দিয়েছি , অন্তঃবর্তী কালীন সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকার এখন পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনাই। ফ্যসিবাদকে নিষিদ্ধ করলেও তাদের দোষরদের আষ্ফালন এখনো দেখা যায়।
বিগত ১৬ বছরে ১৪ দলের শরিকরা ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রেখেছিল । তাদের ১টি শরিকদল হচ্ছে জাতীয় পার্টি। অনতি বিলম্বে জাতীয় পার্ঠি কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। কাইকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য এই আন্দোলন হয় নাই , কাউকে এমপি মন্ত্রী বানানোর জন্য ছাত্র জনতা জীবন দেয় নাই উল্লেখ করে তিনি রাষ্ট্র সংস্কার নির্বচনের আগেই দাবী করেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে এসে যোগ দেয়। পরে তিনি মোদি বিরুধী আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ পদান করেন।