পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি সীমান্তের করতোয়া ও সাও নদীর মিলনস্থল থেকে মানিক হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও বিজিবি। নিহত মানিকের বাড়ি তেঁতুলিয়ার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্ত পার হয়ে ভারত থেকে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও মানিকসহ চারজন নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলি মাথার পেছন দিয়ে ঢুকে চোখের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিখোঁজ থাকা চারজনের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামে একজনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুইজন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
দেবনগড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। ওই সময় ৪ জন নিখোঁজ হয়। আজ মানিকের মরদেহ পাওয়া গেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী বিচার হোক, কিন্তু নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এখনো যারা ভারতে আটক, তাদেরও দ্রুত ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। তবে নিখোঁজদের বিষয়ে থানায় কেউ এখনো অভিযোগ করেনি।”
এদিকে, ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বিএসএফ একজনকে ফেরত দিয়েছে, তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে