ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার উচালিয়াপাড়া মোড়ে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর তপুর নেতৃত্বে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে যোগ দিতে উচালিয়াপাড়ায় একদল কর্মী জড়ো হচ্ছিলেন। এ সময় মুজাহিদ নামে এক যুবকের সাথে অন্য এক যুবকের ধাক্কা লাগে।
বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে মোশারফ নামে অপর এক কর্মী মীমাংসায় এগিয়ে গেলে তাকে মারধর করে মুজাহিদ। পরে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি দুই দলে ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।
সংঘর্ষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সৈয়টুলা ও উচালিয়াপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে দাঙ্গাবাজরা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, “আমার কর্মী মোশারফকে মুজাহিদ নামে এক যুবক মারধর করে।
ওই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, স্বৈরাচারপন্থী দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা দোষীদের বিচার চাই। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে।”
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাবে।”