
হামাসকে আবারও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর)জেরুজালেমে সাংবাদিকদের ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআর বলেন, গাজায় হামাসের হাতে আটক বাকি জিম্মিদের মুক্তি দিলে এবং অস্ত্র নামিয়ে রাখলে যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হতে পারে। এদিকে গাজার সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে হামলা চালাচ্ছে সেনারা,যেখানে লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সাআর বলেন, আমরা রাজনৈতিক উপায়ে এই লক্ষ্য অর্জনে খুবই খুশি হব। এর জবাবে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাঈম রয়টার্সকে বলেন, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ শেষ করতে এবং সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়, তবে সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা।
গত মাসে গাজা শহরে প্রধান নগরকেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েল। বর্তমানে তাদের বাহিনী শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। রাতভর হামলায় শহরজুড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজা শহরের একটি স্কুলে হামলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।
রয়টার্সের স্কুলে হামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সেনারা জানায়,তারা একজন হামাস যোদ্ধাকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল এবং হামলার আগে বেসামরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। সপ্তাহান্তেও সেনারা গাজা শহরে ব্যাপক হামলা চালায়, দুটি উঁচু ভবন ধ্বংস করে। ভবনে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। সেনারা বলেছে, ভবনগুলো হামাস ব্যবহার করছিল এবং বেসামরিকদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।
তবে ইসরায়েল কোনও প্রমাণ দেয়নি যে হামাস ওই ভবনগুলো ব্যবহার করছিল। হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে ইসরায়েলি সমাজের কিছু অংশের মধ্যে যুদ্ধ ক্রমশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শনিবার রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে যোগ দিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। যুদ্ধ শেষ করার এবং বন্দিদের মুক্তির দাবি তোলে তারা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন জঙ্গিদের আকস্মিক হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং আরও ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর জবাবে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বর্তমানে গাজায় ৪৮ জন জিম্মি এখনো আটক রয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন তাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত। অধিকাংশ জিম্মি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছিল।