ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার পৌর যুবদলের সদস্য সচিব রাকিব মিয়া পারিবারিক সমস্যার একটি বিষয় নিয়ে মামলা রেকর্ড করার শর্তে ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায, আনোয়ার হোসেন এর ভাতিজির শ্বশুর বাড়িতে একটি পারিবারিক সমস্যা হয়। এর প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ড করাতে রাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে মামলা রেকর্ড করতে রাকিব ৫০ হাজার দাবি করেন। এসময় তাকে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। পরে সে আরো ৪০ হাজার টাকা বাদি করে যে টাকা না দিলে মামলা রেকর্ড হবে না। এরপর আরও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মোট ৩০ হাজার টাকা নেয়ার পর রাকিব আর মামলাটি রেকর্ড করতে থানায় উপস্থিত হননি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার আনোয়ার হোসেন বিষয়টি কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেন।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কসবা থানার কাছ থেকে রাকিবকে আটক করা হয় এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাকিব কসবা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিনের ভাতিজা এবং দলের সদস্য সচিব পদ ব্যবহার করে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে দলের ভাবমূর্তির জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। জেলা ও কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
কসবা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বিষটি নিশ্চিত করেন।