মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসী অভিযানে এবার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে যাচ্ছেন সিরীয়রা। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তরফ থেকে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিতাড়নের বিরুদ্ধে সিরীয় অভিবাসীদের আইনি সুরক্ষা তুলে নেবে হোয়াইট হাউজ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদার (টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস বা টিপিএস) আওতায় রয়েছেন ছয় হাজারের বেশি সিরীয় অভিবাসী। এই মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকললিন এক বিবৃতিতে বলেন, সিরিয়ায় আর এমন বৈরী পরিবেশ নেই, যা অভিবাসীদের ফিরে যেতে বাঁধা দেয়। এছাড়া, প্রায় দুই দশক ধরে সিরিয়া সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের কেন্দ্রস্থল। তাই, সিরীয়দের যুক্তরাষ্ট্রে আরও অবস্থান করতে দেওয়া আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে টিপিএস সুবিধায় অবস্থানরত সিরীয়দের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর ওই মর্যাদায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কোনও সিরীয়কে গ্রেফতার ও বহিষ্কার করা হতে পারে।রিপাবলিকান ট্রাম্প এর আগে শত শত হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি মর্যাদা শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করে আসছেন।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা হাজারো অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিলের চেষ্টা করে আসছেন ট্রাম্প। অথচ তাদের মধ্যে অনেক অভিবাসী বছরের পর বছর আইন মেনে মার্কিন মুলুকে কাজ করে যাচ্ছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, অভিবাসীদের বিতাড়নের বিরুদ্ধে আইনি সুরক্ষার সুবিধা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া, অনেক অভিবাসী এসব সুরক্ষা পাওয়ার যোগ্য নয়।
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট ও অভিবাসী অধিকারকর্মীরা বলছেন, এই নীতির কারণে টিপিএস ভুক্তরা নিজ নিজ দেশের বিপজ্জনক পরিবেশে ফিরে যেতে বাধ্য হবেন।