ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে হত্যাকারীদের (হামাস) পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নিজের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনারও আভাস দিয়েছেন তিনি।
বেন গাভির বলেছেন, পরবর্তী ক্যাবিনেট মিটিংয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের প্রস্তাব তুলবেন তিনি। সেখানে সীমিত শাসনাধিকার ভোগ করা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে (প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটি) বাতিল করা উচিত বলেও দাবি জানান তিনি।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) একই দিনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট সমাধানে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার (দ্বিরাষ্ট্র সমাধান) আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশগুলো।
স্বীকৃতির ঘোষণায় নিজেদের আপত্তি প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্ত্রণালয়ের অ্যাকাউন্টে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কেবল হামাসকে পুরস্কৃত করা হলো। এর পেছনে রয়েছে ব্রিটেনে তাদের সমর্থক গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুডের উৎসাহ।
ওই পোস্টে অভিযোগ করা হয়, হামাস নেতারা এই স্বীকৃতিকে ৭ অক্টোবরের হত্যাযজ্ঞের ফসল বলে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনা পুনর্জীবিত করতে, মহান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিচ্ছি।
তবে এর মাধ্যমে হামাসকে মোটেও পুরস্কৃত করা হয়নি বলে জোর দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা শাসন ব্যবস্থায় হামাসের কোনও স্থান নেই। এই স্বীকৃতি মোটেও হামাসকে পুরস্কৃত করে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্তরিক চাওয়া হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে সংকট মোকাবিলা করা। এটি হামাসের বিদ্বেষপূর্ণ দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীত।
স্বীকৃতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন বলেছেন, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে আমরা সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার দিকে আরেক ধাপ অগ্রসর হলাম। অবশ্য বিষয়টা এমন না যে, আগামীকালই যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। তবে এটা সামনে আগানোর জন্য আমাদের এমন একটা ধাপ তৈরি করে দিলো, যার ওপর আমরা আরও বড় কিছু তৈরি করতে পারি।