ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দ বাজারের একটি চাউলের দোকানে পাঁচজন অস্ত্রধারী ব্যক্তি হামলা চালিয়ে এক ব্যবসায়িকে গুরুত্বর আহত করেছে। হামলার সময় দোকানে থাকা নগদ টাকা লুট করা হয়। পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে 'মেসার্স আব্দুল রউফ এন্ড সন্স' চাউলের দোকানে।
এই ঘটনায় নাটাই গ্রামের আব্দুল রউফের ছেলে মোঃ খায়েশ মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন:
নাটাই গ্রামের মৃত ছামাদ মিয়ার ছেলে মোঃ জালাল মিয়া, তার ছেলে মোঃ আরাফাত রহমান প্রভাশ, নাটাই দক্ষিন বড় হরণ গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, শহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার ওসমান মিয়া, শহরের ভাদুঘর এলাকার নিয়ামতকে অভিযুক্ত করা হয়।
জানানো হয়, হামলার সূত্রপাত হয়েছে মোঃ জালালের দোকানের কাছাকাছি আব্দুল রউফের দোকান থেকে একজন কাস্টমার চাউল নেওয়াকে কেন্দ্র করে। কয়েক দিন আগে ওই কাস্টমার আব্দুল রউফের দোকান থেকে কম দামে চাউল পেয়েছিলেন। এ বিষয়ে জালাল জাবেদকে জিজ্ঞাসা করেন যে এটাতো আমার দোকানের কাষ্টমার। জাবেদ মিয়া বলেন, আমি কি করে জানব যে এটা আপনার কাস্টমার। এ কথায় মোঃ জালাল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে মোঃ আরাফাত রহমান প্রভাশকে নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটান।
“সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, জালালের ছেলে আরাফাত হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার সঙ্গে থাকা অন্যদেরকে নিয়ে হামলা চালাচ্ছেন।”
শুক্রবার দুপুরে জাবেদ মিয়া কাস্টমারের কাছে চাউল বিক্রি করছিলেন। পরে পাঁচজন আক্রমণকারীরা হাতে থাকা লোহার রড ও চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করতে থাকেন জাবেদকে। তাকে দোকান থেকে রাস্তায় টেনে নিয়ে পুনরায় মারধর করা হয়। মোঃ আরাফাত রহমান প্রভাশ চাপাতি দ্বারা মাথায় আঘাত করেন, নিয়ামত লোহার রড দিয়ে মাথায় বারি মারে। অন্যান্য অভিযুক্তরাও বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর আঘাত করে।
এছাড়া অভিযুক্ত মোঃ আরাফাত রহমান ও নিয়ামত দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে পাঁচ লক্ষ আটাত্তর হাজার টাকা লুট করেন। এসময় আশপাশের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা দ্রুত এসে জাবেদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
“ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।