ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী জাভেদ মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহতের ঘটনায় মামলার অন্যতম আসামী ওসমান মিয়া ওরফে কামরুল আলম (৩৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আনন্দবাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে শহরের খৈয়াসার এলাকার মৃত সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে। তবে এ ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী নাটাই গ্রামের মোঃ জালাল মিয়া (৬০) ও তার ছেলে মোঃ আরাফাত রহমান প্রভাষ (২৬), বড় হরণ গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৩০), ও ভাদুঘর এলাকার নিয়ামত (২২) পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত (২৫ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার আনন্দবাজারের ‘মেসার্স আব্দুল রউফ এন্ড সন্স’ চাউলের দোকানের মালিক জাভেদ মিয়া একজন ক্রেতার কাছে চাউল বিক্রি করেন। কিন্তু এ সময় প্রতিবেশী দোকানদার মোঃ জালাল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ আরাফাত রহমান ওই ক্রেতার কাছে চাউল কেন বিক্রী করা হলো তা নিয়ে জাভেদ মিয়ার উপর ক্ষুব্ধ হয় এবং গালিগালাজ করে।
এর প্রতিবাদ করায় জালাল মিয়া ও তার ছেলে আরাফাত রহমানসহ তাদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে জাভেদ মিয়ার দোকানে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ধারালে চাপাতি ও লোহর রড দিয়ে জাভেদ মিয়ার মাথাসহ দেহের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আহত করে। এরমধ্যে ওসমান মিয়া লোহার রড দিয়ে জাভেদ মিয়ার মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
হামলা শেষে আসামীরা চলে যাওয়ার সময় দোকানে থাকা ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায় এবং জাভেদ মিয়াসহ তার পিতাকে প্রাণনাশের হুমকী দেয়। পরে স্থানীয়রা আহত জাভেদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতারে নিলে চিকিৎমক মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় আহত জাভেদ মিয়ার ভাই মোঃ খায়েশ মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত ওসমান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জালাল মিয়া ও তার ছেলে আরাফাতসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।