ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ৫ ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দেশে এখন ইসলামের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। দেশের মানুষ চেয়েছিল গণঅভ্যুত্থানের পর মৌলিক সংস্কার ও গণহত্যাকারী ও দেশের সম্পদ লুট কারীদের দৃশ্যমান বিচারের পর নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা।
অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস মৌলিক সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচারের আগেই নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন। কেন তিনি এই নির্বাচন ঘোষণা করেছেন তা আজ দেশের মানুষ জানতে চায়।
তিনি আরো বলেন, মৌলিক সংস্কার ও বিচারের আগে যারা নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়া করছে তাদের স্লোগানের সাথে ভারতের স্লোগান মিলে যায়। তাদের কথার সাথে ভারতের "র" এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন হয় ।
শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকালে প্রয়োজনীয় সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর বাজার মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর দেশের মানুষ আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছে। নতুন ভাবে তারা ক্ষমতা এসে দেশের মানুষকে কি উপহার দিবে তারা ইতিমধ্যেই সিগন্যাল দিয়েছে। যেখানে একজন সাধারণ পানের দোকানদারও চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। এমনকি নিজেদের মধ্যে চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে খুন হয়েছে ২০০ এর মত। তবে দেশের মানুষ এখন আর ঘুমিয়ে নেই। সকলকে একত্রিত হয়ে ফ্যাসিবাদ যেন দেশের মাটিতে ঠাই না পায় সেজন্য প্রতিহত করে উৎখাত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে বহু তন্ত্র,মন্ত্র দেখা হয়েছে। মানুষ এখন নীতি আদর্শের দল ইসলামকে দেখতে চায়। এজন্য ইসলামী দলগুলো নির্বাচনে একটি বাক্স পাঠাবে। কিন্তু কিছু স্বজাতি দল ঐক্য নষ্ট করার জন্য ভিন্ন কথা বললেও চাঁদাবাজ, খুনি, এমনকি বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলের উত্থান নিয়ে চিন্তুত তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে না। কিন্তু দেশের মানুষ এখন তা বুঝে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুহাম্মদ সামসুল হক (সুমন) এর সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, জেলা কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক গাজী নিয়াজুল করিম।
#