 
																
								
                                    
									
                                 
							
														
আখাউড়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের রুপনগর এলাকার বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ ও মানহানিকর অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকালে আখাউড়ার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, “গত ১৭ অক্টোবর আখাউড়া সড়ক বাজারে একটি মানববন্ধন আয়োজন করে আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। আমি এই মানববন্ধনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”
তিনি অভিযোগ করেন, আখাউড়ার শ্যামনগর এলাকার হুমায়ূন ভূঁইয়া ও শামীম আহমেদ নামের দুই ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের সঙ্গে তার কোনো ব্যক্তি বা আইনগত বিরোধ নেই।
আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি বৈধভাবে একটি জায়গা ক্রয় করে খারিজ করেছিলাম। পরবর্তীতে খাজনা দিতে গিয়ে জানতে পারি খারিজটি বাতিল হয়েছে। আমি বিষয়টি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি এবং মামলাটি চলমান রয়েছে। কিন্তু হুমায়ূন ভূঁইয়া জাল দলিল তৈরি করে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে জবরদখল, মাদক বা অন্য কোনো অপরাধে কোনো মামলা নেই। তবুও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য নানা মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, মানববন্ধনের অন্যতম আয়োজক শামীম আহমেদ ১৩ অক্টোবর আখাউড়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। অথচ বিষয়টির তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
তিনি দাবি করেন, হুমায়ূন ভূঁইয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং বর্তমানে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একজন উগ্রপন্থী ও সমাজে অশান্তি সৃষ্টিকারী ব্যক্তি।
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বলেন, “শামীম আহমেদ ও হুমায়ূন ভূঁইয়া চাচা-ভাতিজা। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”