শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
Title :
মুফতি মহিবুল্লাহকে অপহরণের পরের দিন শিকলবাঁধা অবস্থায় পঞ্চগড় থেকে উদ্ধার মিরপুরে শেষ ম্যাচ খেলেই অবসর নিতে চান সাকিব সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কেন চুপ ছিলেন ঐশ্বরিয়া গাজায় এখন কবরস্থানই বেঁচে থাকা মানুষের শেষ আশ্রয় সৌদি আরব যাবেন প্রধান উপদেষ্টা গলাচিপায় যুবদল কর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও ন্যায়বিচারের দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন আজ স্থানীয় শহীদ রোভার দিবস টর্চের আলোয় মহাসড়কে তাণ্ডব-ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত-৩০ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লীজ দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনা, আহত ১২ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে একাট্টা গ্রামবাসী, প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুশিয়ারি

গাজায় এখন কবরস্থানই বেঁচে থাকা মানুষের শেষ আশ্রয়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ০ Time View
গাজায় এখন কবরস্থানই বেঁচে থাকা মানুষের শেষ আশ্রয়
গাজায় এখন কবরস্থানই বেঁচে থাকা মানুষের শেষ আশ্রয়

গাজায় বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখন আশ্রয়ের শেষ বিকল্প হিসেবে কবরস্থানে তাঁবু গেড়ে বসবাস করছেন। মানবিক সংকট অব্যাহত থাকায় এবং ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহর থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক হিন্দ খুদারি জানান, এই কবরস্থান জীবিতদের জন্য নয়, মৃতদের জন্য তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজ এটি হয়ে উঠেছে বহু বাস্তুচ্যুত পরিবারের একমাত্র আশ্রয়স্থল। তিনি বলেন, মানুষ সেখানে আগ্রহ থেকে বাস করছে না, বরং এটাই এখন একমাত্র ফাঁকা জায়গা যেখানে তারা থাকতে পারে। কবরস্থানগুলো এখন বেছে নেওয়া আশ্রয় নয়, বরং হতাশার আশ্রয়।

উত্তর গাজার বেইত হানুন থেকে বাস্তুচ্যুত রামি মুস্লাহ নামের এক ফিলিস্তিনি জানান, তিনি ও তার ১২ সদস্যের পরিবার কবরস্থান ছাড়া অন্য কোথাও আশ্রয় পাননি। অভিভাবক হিসেবে এটা মানসিকভাবে অসহনীয়। শিশুদের কবরের পাশে বড় হতে দেখা যুদ্ধের মানসিক আঘাতকে আরও গভীর করে তুলছে।

আরেক বাসিন্দা সাবাহ মুহাম্মদ বলেন, যে কবরস্থান একসময় মৃতদের পবিত্র বিশ্রামস্থল ছিল, এখন তা জীবিতদের নীরব সংকটের সাক্ষী। নেই পানি, নেই বিদ্যুৎ, নেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, শুধু বেঁচে থাকার ন্যূনতম চেষ্টা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, চলমান যুদ্ধে গাজার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ, অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। অনেকে ১০ বারেরও বেশি বার স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছেন।

গাজার বাস্তুচ্যুত এক নারী বাসিন্দা বলেন, গাজায় এখন মৃতদের জমিই জীবিতদের শেষ আশ্রয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের নির্দেশে উত্তর গাজা ও গাজা নগরী থেকে দক্ষিণে পালিয়ে আসা মানুষদের অনেকেই এখন অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে অমানবিক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দক্ষিণের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জায়গা না পেয়ে কবরস্থান বা ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।

এমন অবস্থায় তাঁবু গেড়ে থাকার জন্য এক বর্গমিটার জমি ভাড়াও অনেকের নাগালের বাইরে। স্থায়ী আয়ের অভাবে বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ এখন সীমিত মানবিক সহায়তার ওপরই নির্ভরশীল। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, গাজাজুড়ে এখন প্রায় ৬১ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। মহল্লাগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বহু পরিবার এখন সেই ধ্বংসস্তূপে আশ্রয় ও পানির খোঁজে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

যদিও ১০ অক্টোবর থেকে এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি বলবৎ রয়েছে। তবু ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে কড়া নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বুধবার রায়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে এবং খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

বর্তমানে ত্রাণ সামগ্রী কেরেম শালোম (কারেম আবু সালেম) সীমান্তপথে মধ্য ও দক্ষিণ গাজায় প্রবেশ করছে। কিন্তু উত্তর গাজার কোনও প্রবেশপথ এখনও খোলা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: FAZLY RABBY
Tuhin