আজ সোমবার বিকেল ৪টায় গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক- মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে পটুয়াখালীর চারটি আসনের বিএনপির আটজন সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডেকেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশান বিএনপি কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তারেক রহমান অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রত্যেক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন। আলোচনায় তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা, তৃণমূল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতা, পূর্বের রাজনৈতিক ভূমিকা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি যাচাই করা হবে।
পটুয়াখালী-১ (সদর-দুমকী-মির্জাগঞ্জ)
এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বৈঠকে অংশ নেবেন জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। দুজনই দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল)
এই আসনের তিন মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার। বাউফলে সংগঠনকে সুসংহত রাখতে এ তিন নেতাই নিয়মিতভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা-গলাচিপা)
এই আসনে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে ডাক পেয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় বিএনপির কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এলাকায় তরুণ ও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী)
এই আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির বৈঠকে অংশ নেবেন। স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের তৃণমূলভিত্তিক সংগঠক হিসেবে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, সারাদেশের প্রতিটি জেলার মতো পটুয়াখালীতেও বিএনপি মনোনয়ন চূড়ান্তের আগে মাঠপর্যায়ের নেতৃত্ব যাচাই করছে। তৃণমূলের মতামত ও সংগঠনের শক্তি বিবেচনায় এনে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, গুলশানের এই বৈঠক আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে তারেক রহমান প্রত্যক্ষভাবে জেলার নেতাদের কাছ থেকে মাঠপর্যায়ের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণ করবেন।
দলের নেতারা মনে করছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্বের প্রতি আস্থা বাড়বে।