ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারি রাস্তার মধ্যে বাউন্ডারি নির্মাণে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক প্রবাসীর ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এঘটনায় আহত প্রবাসী কামাল মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তার বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে প্রবাসী কামাল মিয়া আমতলী বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফেরার পথে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর এলাকায় আসামিদের বসতবাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায় যায়, আসামীরা সরকারি রাস্তার মধ্যে তাদের বাড়ী নির্মাণ করার জন্য বাউন্ডারি দিচ্ছিলো। এবিষয়টি নিয়ে তাদের বাধা দিয়েছিলো কামাল মিয়া। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সাথে নিয়ে একটি অভিযোগ দেন প্রশাসনের কাছে। অভিযোগের পর প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে তার ওপর নৃশংসভাবে আক্রমণ করে। তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, মাথার একটি অংশ আলাদা হয়ে যায়। এসময় ডান হাতের কব্জির জয়েন্ট ও পা ভেঙে যায় । হামলার একপর্যায়ে তার হাতে থাকা ৪ লাখ টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সে খান থেকে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিওতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
অভিযোগে নয়জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত করে আসামী করা হয়েছে। তারা হলেন চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত কাছন আলীর ছেলে সুলতান আহমেদ ও আব্দুল কাদির, মৃত বাবর আলীর ছেলে সারওয়ার রহমান, ফরিদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, মৃত দানা মিয়ার ছেলে তুষার মিয়া, সুলতান আহমেদের ছেলে মিশাল মিয়া, ফরিদ মিয়ার ছেলে তামিম মিয়া, আব্দুল কাদিরের ছেলে রফিক মিয়া এবং সারওয়ার রহমানের স্ত্রী আরজিনা বেগম।
আহতের পরিবার জানান, এভাবে কি একজন মানুষকে মানুষ মারতে পারে ? সে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বাঁচে কি মরে আমরা বলতে পারি না। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই ও দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।