বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাই করতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের একটি এডভান্স টিম ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। দলটি দেশের ব্যাংক, বীমা ও স্টক এক্সচেঞ্জ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সম্ভাব্য বিনিয়োগ ক্ষেত্রসমূহ বিশ্লেষণ করবে।
এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গেলেন্স (Gallance)-এর প্রধান নির্বাহী আলহাজ কবীর আহমেদ ভূঁইয়া, যিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের আর্থিক খাতে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের আর্থিক খাত প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি সম্পদ ব্যবস্থাপনা করছে, যার মধ্যে ব্যাংকিং খাতের অংশ প্রায় ৭৫ শতাংশ। দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে বাজার মূলধন ইতোমধ্যে ৭০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে, আর বীমা খাত বছরে গড়ে ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রেক্ষাপটে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগমন বাংলাদেশের আর্থিক খাতে নতুন গতি ও আস্থা যোগ করবে। বিনিয়োগ প্রবাহ বাড়লে কেবল ব্যাংক বা বীমা খাতই নয়, দেশের রেমিট্যান্স, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ-সবক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
গেলেন্স-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের এডভান্স টিম দেশের আর্থিক অবকাঠামো, বিনিয়োগ নীতি, নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার সক্ষমতা পর্যালোচনা করবে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আগামী মাসেই মূল বিনিয়োগ প্রস্তাবনা প্রকাশ করা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যানুসারে, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশের আর্থিক খাতে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) প্রায় ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আগামী দুই বছরের মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, গেলেন্সের নেতৃত্বে এই বিনিয়োগ উদ্যোগ বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার এক বাস্তব পদক্ষেপ, যা সরকারের “রিবিল্ড বাংলাদেশ” ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।