
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হোটেল কর্মচারী ইয়াছিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ইয়াছিন উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। এর আগে গত শনিবার রাতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন শিপন নামে আরো একজন মারা যায়। নিহত শিপন ওই ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের আব্দুল মোন্নাফ ওরফে মনেক ডাকাতের ছেলে। এ ঘটনায় নূর আলম ও প্রতিপক্ষের এমরান মাস্টার নামে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নুরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা শিপনের সাথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাতের বিরোধ চলছিল। পূর্ববিরোধের জেরে গতকাল শনিবার রাতে শিপন গণিশাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিফাত, আরাফাতসহ কয়েকজন। এতে শিপন ও হোটেলের এক কর্মচারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে শিপনের মৃত্যু হয়। রোববার বিকেল ইয়াছিন নামে আরেকজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনেক মিয়ার লোকজন রাতেই প্রতিপক্ষের এমরান মাস্টারের উপর হামলা চালায়। এ সময় এমরান মাস্টার গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতির ভাগাবাটোয়ারা নিয়ে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ঢাকায় চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।