
হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন পঞ্চগড়ের আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। আলু উৎপাদন থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত যে পরিমান অথ খরচ হয়েছে ,তার অর্ধেকের কম টাকাও পাচ্ছেনা তারা। আলুর দামে এমন দরপতনে চাষি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছে ।
পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি উপজেলার কয়েক জন আলূ চাষি ও ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আলুর বীজ সার ও বর্গা জমির ভাড়া অন্য বছরের তুলনায় অনেক বেশী। এ বছর এক কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের ১৭ থেকে ১৮ টাকা খরচ হয়েছে। বাছাই করে হিমাগারে রাখার উপযোগী করতে বস্তা পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরিসহ প্রতি কেজিতে খরচ হয়েছে ৩ টাকা। এর সাথে হিমাগার ভাড়া কেজিতে আরো খরচ হয়েছে ছয় টাকা।
হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করা পর্যন্ত প্রতি কেজি আলুতে খরচ পড়েছে ২৭ টাকা। হিমাগারে আলু সংরক্ষণের পাঁচ মাস পর এখনও হিমাগারে পাইকারীতে ১০ থেকে ১২ দরে প্রতি কেজি আলু বেচাকেনা হচ্ছে। এতে প্রতি কেজি আলুতে কৃষকের ১৫ টাকা লোকসান হচ্ছে। জেলার বোদা উপজেলার বালাভীড় গ্রামের আলু চাষি বাবু জানান,বর্গা নিয়ে ৫ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছিলাম প্রতি শতকে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকার মতো বা প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে ১৮ টাকা খরচ হয়েছে।
আলূ তোলার মৌসুমে ক্ষেতে তেমন পাইকার আসেনি। যা দু- একজন আলুর বেপারি আসে তারা প্রতি কেজি আলুর দাম হাকায় মাত্র ১২ থেকে ১৪ টাকা। উৎপাদন খরচ না উঠায় সেসময় আলু বিক্রি না করে উৎপাদন খরচ পুশিয়ে নিতে, বেশী দামের আশায় কেজিতে আরো ৯ টাকা খরচ বাড়িয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করেছি। এখন ১২ টাকার বেশী সেই আলুর দাম কেউ বলে না। কষ্ট ও পরিশ্রম বাদ দিলাম। পুঁজি খাটিয়ে কি লাভ হলো এখন আলুর অর্ধেক দামও কেউ বলে না। আলুর আবাদ করে গত বছর উৎপাদন খরচ না উঠায় এবছর আলুর আবাদ কমে আসবে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।