ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারি জায়গা জবরদখলের প্রতিবাদ করায় প্রবাসী কামাল মিয়ার উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের আমতলী বাজারে সচেতন গ্রামবাসীর উদ্যােগে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আহত কামলের ভাই মোহাম্মদ নজরুল, বিজয়নগর উপজেলা তাঁতি দলের আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম খান, মিজান মিয়া, মোহাম্মদ লাল মিয়া, আলেব খানসহ স্থানীয় গ্রামবাসী।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের প্রভাবশালী সারওয়ার মিয়া, সুলতানা আহমেদসহ একটি ভূমিদস্য চক্র সরকারি রাস্তার উপর জবর দখল করে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করে। সম্প্রতি কামাল মিয়া প্রবাস থেকে ফিরে বিষয়টির প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে সারোয়ার মিয়া, সুলতান আহমেদসহ তাদের চক্রটি কামাল মিয়ার উপর ক্ষুব্ধ হয়। এর জের ধরে প্রভাবশালী চক্রটি ২৮ অক্টোবর রাতে মিরপুর গ্রামে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামাল মিয়ার উপর হামলা চালায়।
এ সময় তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত কামলের স্ত্রী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলা করার পর থেকে পরিবারটি প্রভাবশালীদের হুমকি ধমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন।
বক্তারা, কামাল মিয়ার উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার তারা। পরে গ্রামবাসীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আমতলী বাজার থেকে রওনা হয়ে বিজয়নগর থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধদের শান্ত করেন।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, প্রবাসী কামালের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার ৫ নভেম্বর আহত কামালের দুবাই যাওয়ার ফ্লাইট ছিল।