গাজীপুরের শ্রীপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ এনামুল হক মোল্লা (স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) সহ অন্তত ৭ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুন গ্রামে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর আর্মি ক্যাম্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মেজর খন্দকার মহিউদ্দিন আলমগীর (৪৬ ডিভ লোকেটিং) এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দু’টি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি, চারটি ওয়াকিটকি, চারটি বেটন, দুটি ইলেকট্রিক শর্ট মেশিন, একটি হ্যামার নেল গান ও একটি চাকু।
অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন, এনামুল হক মোল্লা, শওকত মীর, জাহিদ, মোস্তফা, সিদ্দিক, বুলবুল ও তোফাজ্জল।
এদিকে ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দাবি করেছেন এনামুল হক মোল্লার ছোট ভাই আশরাফ মোল্লা। তিনি বলেন, গাজীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী এনামুল হক মোল্লাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যৌথবাহিনী রাত ১টার দিকে কয়েক দফা তল্লাশির নামে বাড়িতে হানা দেয়। কিছু না পেয়ে পরে গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা। সিসি ক্যামেরা ও ডিডিআর বক্স ভেঙে ফেলে, যেন কোনো প্রমাণ না থাকে। এরপর তল্লাশির নামে লুটপাট চালানো হয়। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে মাইকিং করে হুমকি দেওয়া হয়। যে আসবে, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশির পর ভোরে এনামুল হক মোল্লাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, এটি কোনো আইন-শৃঙ্খলা অভিযান নয়, বরং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ। এভাবে গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অভিযান ও আটক বিষয়ে সেনাবাহিনী বা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।