আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বা ‘অধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী ৪২ হাজার ৭৬১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮ হাজার ২২৬টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ২০ হাজার ৪৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৩ হাজার ৪০০টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রগুলোর ভৌত অবকাঠামো, থানা থেকে দূরত্ব, প্রভাবশালীদের বাসস্থান, সীমান্ত ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা-এসব বিবেচনায় কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা ভোটের অন্তত ২৫ দিন আগে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের চূড়ান্ত সংখ্যা ও প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এসব বিষয়ে কমিশন সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, এবার মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ ও নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে গত ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানরা অংশ নেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ভোটকেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বডি ক্যাম ও সিসিটিভি ব্যবহারের নির্দেশনা দেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, নির্বাচনে আনসার বাহিনীর ৫ লাখ ৭০ হাজার, পুলিশের ১ লাখ ৪১ হাজার সদস্য এবং ৪৭ হাজার পুলিশ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ৯০ হাজার সেনা, আড়াই হাজার নৌবাহিনী ও দেড় হাজার বিমানবাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবে। প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি করে সেনা মোতায়েন থাকবে বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে।