পঞ্চগড়ে রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এবং উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী দুইজন দুজনের নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের কারনে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলার রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদরাসায়। স্থানীয়রা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় উপাধ্যক্ষ পদে মো. এরশাদ আলী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও নিয়োগ বোর্ডের নম্বর পত্রে যাদের প্রতিদ্বন্দী দেখানো হয়েছে তারা হলো মোঃ আবুল হাসান ও মো: আমিরুল ইসলাম। তারা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।
আপনি জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে উক্ত পদে নিয়োগ গ্রহণ করেছেন। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নেওয়ায় এমপিও সাময়িক স্থগিতসহ কেন স্থায়ী ভাবে স্থগিত করা হবে না। সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চেয়েছিলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক।
শোকজের জবাবে উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ের যাবতীয় রেকর্ড পত্র বিধি অনুসারে আপনার নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। ২০১৫ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা, না করার বিষয়ে আপনি সর্বাধিক অবগত আছেন। কারণ মাদরাসার প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে অদ্যাবধি আপনি অধ্যক্ষ পদে আছেন।
এমনকি পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের শাসনামলে আপনি নিজে মৎস্যজীবি লীগের পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদরাসার শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে ফাঁকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করেছেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন।
এলাকায় সুশিক্ষিত অনেক লোক থাকা সত্ত্বেও একই নিয়োগ বোর্ডে আপনারা তিন ভাই সদস্য ছিলেন। যাতে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি প্রকাশ না পায়। সরকার পতনের পর অধ্যক্ষ নিজেও ৬ মাস পলাতক থেকে সরকারের দেয়া পূর্ণ বেতন ভাতা গ্রহন করেছেন।
এ বিষয়ে রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে, মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও কোন সাড়া দেননি। তবে উপাধ্যক্ষ এরশাদ আলী বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভুল বুঝাবুঝি থেকে এঘটনা। আমরা আপোষ করে নিয়েছি।