
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর ওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একের পর এক ভবন জ্বলে ছাই হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই আগুন দ্রুত দমে যায়নি; বরং রাতভর জ্বলার পরও বুধবার দুপুর পর্যন্ত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দেশটির জাতীয় অগ্নি নির্বাপণ সংস্থা জানায়, আগুনে এখন পর্যন্ত ১৭০টিরও বেশি ভবন পুড়ে গেছে; বিশাল একটি অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ভয়াল এই অগ্নিকাণ্ডের সর্বশেষ পরিস্থিতি।
সংস্থাটি জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ওইতা শহরের উপকূলীয় সাগানোসেকি এলাকায় প্রথম ধোঁয়া দেখা যায়। মুহূর্তেই বাতাসের দাপটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। জরুরি পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দ্রুত আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত ১৭৫ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত—তা জানতে ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল কাজ করছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে শহরজুড়ে ঘন কালো ধোঁয়ার চাদর, সঙ্গে লেলিহান শিখায় পুড়ে যাচ্ছে সারি সারি কাঠের বাড়ি ও দোকান। বহু ভবন ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, কিছু জায়গায় মাটির সঙ্গে মিশে আছে আগুনে পোড়া কাঠামো।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি জানিয়েছেন, জরুরি সহায়তা হিসেবে ওইতা প্রিফেকচারের অনুরোধে একটি সামরিক অগ্নিনির্বাপণ হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে, যাতে পাহাড়ঘেরা শহরটিতে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিউশু দ্বীপের এই শহরটি রাজধানী টোকিও থেকে প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার দূরে এবং সাগানোসেকি মৎস্যবন্দর ও উচ্চমানের ম্যাকারেল মাছের উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত।