বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন
Title :
জাপানের ভয়াবহ আগুন: পুড়েছে ১৭০টিরও বেশি ভবন ‘নির্বাচন ‍সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বড়’ বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন মধ্যরাতে আটক, সকালে ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সোহেল ঠাকুরগাঁওয়ে নসিমনের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু পঞ্চগড়কে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো-ডিসি সায়েমুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সার বিতরণ সংক্রান্ত নীতিমালা ২০০৯ বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সোনা, সম্পাদক মতিয়ার পুননির্বাচিত ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদণ্ড

মধ্যরাতে আটক, সকালে ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সোহেল

ওয়ান নিউজ ডেস্ক:
  • Update Time : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ০ Time View
মধ্যরাতে আটক, সকালে ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সোহেল
মধ্যরাতে আটক, সকালে ডিবি থেকে ছাড়া পেলেন সাংবাদিক সোহেল

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সেক্রেটারি ও দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। ডিবির পোশাক গায়ে দেয়া পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন মিজানুর রহমান সোহেলের স্ত্রী সুমাইয়া সীমা।

সারা রাত আটকে রাখার পর বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ছাড়া পাওয়ার তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক সোহেল। ওই পোস্টে তিনি ঘটনার বিস্তারিত লিখেছেন।

তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। বিনা অপরাধে প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ডিবি হেফাজতে থাকার পর তারা আমাকে সসম্মানে মাত্র বাসায় পৌঁছে দিয়েছে।’

সোহেল লিখেছেন, ‘গত রাত ১২টার দিকে ডিবিপ্রধান আমার সঙ্গে কথা বলবেন, এই অজুহাতে ৫/৬ জন ডিবি সদস্য জোর করে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ডিবিতে নিয়ে আসামির খাতায় আমার নাম লেখা হয়। জুতা-বেল্ট খুলে রেখে গারদে আসামিদের সঙ্গে আমাকে রাখা হয়। কিন্তু কেন আমাকে আটক করা হলো? তা আমি যেমন জানতাম না, তেমনি যারা আমাকে তুলে এনেছিলেন বা ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও কিছু বলতে পারেননি। দীর্ঘ সময় পর বুঝতে পারলাম, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র নয়জন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে মনোপলি ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই আমাকে আটক করা হয়েছিল। আমার সঙ্গে সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসকেও আটক করা হয়। তিনি এখনও ডিবি কার্যালয়ে আছেন।’

সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) নিয়ে ডিআরইউতে মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর প্রেস কনফারেন্স করার কথা ছিল। আমি সেখানে ছিলাম মিডিয়া পরামর্শক। সেই প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করাই তাদের প্রধান টার্গেট ছিল। কিন্তু তাদের জন্য আফসোস, যে উদ্দেশ্যে তারা প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতে চাইলো সেটা দেশের সবাই জেনে গেলো।’

‘দেশের মুক্ত বাণিজ্য নীতির সঙ্গে এনইআইআর স্পষ্টতই সাংঘর্ষিক। প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে দেশে প্রতিযোগিতা কমিশনও রয়েছে। অথচ মাত্র ৯ জন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে সারাদেশে ২৫ হাজার মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে পথে বসানোর গভীর চক্রান্ত চলছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গ্রামের সাধারণ মানুষ, প্রবাসীসহ অনেকেই বিপদে পড়বেন। একটা চেইন ভেঙ্গে পড়বে। অনেক ব্যবসায়ী পথে বসে যাবে। জেনে রাখা ভালো, এই ৯ জনের একজন ওই উপদেষ্টার স্কুল-বন্ধু।’

‘একটা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকার কেন ভয় পায়? শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করতেই কি আমাকে গভীর রাতে জোর করে তুলে নিতে হলো? যারা মুখে ‘বাকস্বাধীনতা’র বুলি আওড়ান, তারাই কি আমাকে বাকরুদ্ধ করতে এই আয়োজন করলেন? মগের মুল্লুকে এই কি তবে বাকস্বাধীনতার বাস্তব চিত্র?’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাকে আটক করার ঘটনা জানাজানি হতেই বহু শুভাকাঙ্ক্ষী, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। অনেকেই খবর নিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দিয়েছেন, বিবৃতি দিয়েছেন, সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তাদের এই সমর্থন ও আওয়াজের কারণেই আমি দ্রুত মুক্তি পেয়েছি বলে বিশ্বাস করি। যারা আমার পাশে ছিলেন তাদের সবার প্রতি আমার অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।’

মিজানুর রহমান সোহেলের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর পাঁচ থেকে ছয়জন ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে মিজানুর রহমানের বাসায় প্রবেশ করেন। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন আশরাফুল নামের একজন ডিবি সদস্য।

সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেলের স্ত্রী সুমাইয়া সীমা জানান, পুলিশ সদস্যরা কোনও পরোয়ানা দেখাতে পারেননি। তারা জানান, ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম তার সঙ্গে কথা বলতে চান। কথা শেষ হলেই তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে।

এদিকে, বিনা পরোয়ানায় এবং মধ্যরাতে একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও পাবনা জার্নালিস্ট ফোরাম। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ডিবিপ্রধান যদি কথা বলতেই চাইতেন, তবে তাকে দিনের বেলা ডাকা যেত অথবা নোটিশ দেওয়া যেত। তিনি নিজেই হাজির হতেন। রাত ১২টার পর বাসা থেকে তুলে নেওয়া মানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যা বর্তমান বাংলাদেশে কাম্য নয়।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 onenewsbd24.com
Developed by: FAZLY RABBY
Tuhin