মৎস্য বিভাগের সনদ জটিলতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়েগেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাছ রপ্তানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। জটিলতা না কাটলে প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার রপ্তানি আয় কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০-৭০ টন হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয় ভারতে। প্রতি কেজি ২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলারে রুই, কাতল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া ও পাবদাসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ রপ্তানি হয়। আর মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে সনদ দেয় মৎস্য বিভগ। তবে এতোদিন সেই সনদ ম্যানুয়ালি দিলেও গত ১৩ নভেম্বর সনদটি অনলাইন করার নির্দেশনা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মৎস্য অধিদপ্তর এটি না করায় বৃহস্পতিবার থেকে বিল অব এন্ট্রি করতে পারছেন না রপ্তানিকারকরা। এর ফলে বন্ধ রয়েছে মাছ রপ্তানি কার্যক্রম।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, বন্দরের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে। এনবিআরের চিঠির আলোকে সনদ অনলাইন করার ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেয়ায় মাশুল দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। জটিলতা নিরসন না হওয়ন পর্যন্ত প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার মাছ রপ্তানি ব্যাহত হবে। এতে করে সরকার রেমিট্যান্স হারাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এনবিআরের নির্দেশনার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। গতকাল বুধবার আমরা জানতে পেরে অনলাইনে আইডি পেতে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছি। ব্যবসায়ীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান হলে পুনরায় মাছ রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।