
আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় অভিযুক্ত ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়েছে। তাদের আনা ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, বাড়ানো হয়েছে সেনা ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেয় পুলিশ। পরে একে একে তাদের হাজতখানায় নেওয়া হয়।
এর আগে ৮ অক্টোবর গুম-নির্যাতন এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তিন মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। একইদিন প্রসিকিউশন এসব মামলার ফরমাল চার্জ দাখিল করে।
পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা ১৫ কর্মকর্তাকে ২২ অক্টোবর বিশেষ নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় এবং শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের ঘোষিত সাব-জেলে স্থানান্তর করা হয়।
গুম-নির্যাতনের দুই মামলায় পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বাংলা ও ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
অন্যদিকে পৃথক দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল-১।