তুমি কেন এখানে আসছো, এতদিন আসো নাই কেন। এতদিন কোথায় ছিলা। এভাবে কথা বলেই হুমকি দিলেন আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাবেক গাড়াতি ছিটমহলের রাজমহল পূর্ববাগান আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক।
অপমান, লাঞ্ছিত ও হুমকির বিষয়ে ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদরাসার অধ্যক্ষের রুমে মিমাংসার জন্য বসা হয়। স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্যের সামনে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। তিনি কহিনুর আক্তারের দ্রুত এমপিও ভুক্তি হয় তার জন্য চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকার নাম কহিনুর আক্তার। তিনি ওই মাদরাসার ইবতেদায়ী শাখার জুনিয়র মৌলভী পদে কর্মরত। তিনি মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই কর্মরত। কয়েকদিন পূর্বে মাদরাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কহিনুর আক্তার মাদরাসায় যান। সেখানে গিয়ে অন্য শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারনে কহিনুর আক্তারকে পরীক্ষার রুমের ডিউটি দেন দায়িত্বে থাকা আরেক শিক্ষক। এর কিছুক্ষন পরে মাদরাসার অধ্যক্ষ ও আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের পঞ্চগড় সদর উপজেলা সভাপতি মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
শিক্ষিকা কহিনুর আক্তার বলেন, আমি মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ১৫ বছর যাবত কর্মরত আছি। অনেক টাকা খরচ করে এখানে নিয়োগ নিয়েছি। সর্বশেষ মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হককে আমার পদে এমপিও ভুক্ত করার জন্য টাকাও দিয়েছি। কিন্তু আরও কয়েকজন শিক্ষকের এমপিও ভুক্ত হলেও আমার টা এমপিও ভুক্ত হয়নি। কি কারনে হয়নি বা করেনি তার কারন অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক জানেন। আমার বেতন ভাতা না হওয়ায় এবং মাদরাসার তহবিল থেকে থেকে সহযোগিতা না করার কারনে আমি কিছুদিন মাদরাসায় যাইনি। কয়েকদিন পূর্বে মাদরাসায় পরীক্ষা চলাকালে গেলে তিনি এমন আচরন করেন।
কহিনুর আক্তারের স্বামী ডাঃ আক্তারুল আলম জানান, অন্য শিক্ষকদের এমপিও ভুক্ত হলেও কহিনুর আক্তারের এমপিও করেননি মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক। মাদরাসায় গেলে কহিনুর আক্তারকে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে অপমান ও লাঞ্ছিত করে। এনিয়ে মাদরাসায় মিমাংসার জন্য বসা হয়। সেখানে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে এর আগে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পোর্টালে অনিয়ম ও দূর্নীতির নিউজ প্রকাশিত হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ।